সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

অনুকাব্য

-অনুকাব্য

সে কাঁদলে আমিও কাঁদি

সে হাসলে আমিও হাসি

আর হঠাৎ হঠাৎ পরস্পরের দিকে

দীর্ঘক্ষণ শুধু তাকিয়ে থাকি!

সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১

প্রহরী


 


অনেকটা চেনা চেনা মনে হচ্ছিল তোমায় গতকাল!

মনেই হয়নি আমরা দুজন দু'জনকে কবে থেকেই ভুলে যাওয়ার চেষ্টায় মত্ত, কি পাগলামির ছলে কাল ব্যাকস্পেসে বন্দীত্ব কিছু অঘোষিত কথাগুলো ভুলের ছলে হয়তো বলে দিয়েছি কোনো না কোনো এক কথার পিঠে কথা রেখে।

মনে হচ্ছিল তুমিও একটু ভুলে যাওনি পুরোনো দিনগুলো, আড়াল থেকেই যতো উল্টাপাল্টা যতো তীব্র অভিমান বুকের ভেতর পুষে একগাদা সাইলেন্ট পেইন সৃষ্টি হয়েছিলো আর কি!

বুঝতে বাকি নেই তুমি ঠিকই মনে রেখেছো আমায়, তবে একাকীত্বে নয় কোলাহলে!

অথচ আমি একটু পুরোনো স্মৃতি গুলো খুঁজি নিভৃতে কেঁদে কেঁদে!

কাল মনে হচ্ছিল একটা মহাকালের রাত, আমি নতুন করে শিখতে পারার দীর্ঘ একটা রাত, অথচ কেউই কারোর নই, তবুও কাল মনে মনে হেঁটে গিয়েছিলাম একসাথে তেপান্তরের শেষে, এক অদেখা আকাঙ্ক্ষার দুয়ারে দুজন ফের হয়ে গিয়েছিলাম প্রেমের বাজারের প্রহরী।

রবিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২১

এ পথ ভীষণ অন্ধকার


 

আমার হাতের মুঠোয় বিষন্নতার ঝড়ে ভাঙ্গা শব্দের সমাহার!
মিছে কবিতার মায়ায় ডুবছি,
অজানা কোন পথের অভিশাপে পথ হারিয়েও মুক্তির আকাশে তোমাকে খুঁজছি!
যদিও আমার এ পথ ভীষণ অন্ধকার🙂

শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১

=মেঘপিয়ন ও আকাশনীলা'র ইতিকথা=




বহুদিন আগে নীল শাড়ী-নীল চুড়ি পরে কাঁজক আঁকা চোখের বালিকার আঙুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে আমি বলেছিলাম তুমি কি আমার "আকাশনীলা" হবে?

তাঁর চোখের তারায় ছিলো আকাশ নীলের নিঃসীম আহ্বান, তাঁর একজোড়া কালো চোখের গাঢ় বাহাত্তর জোড়া পাপড়ি হয়েছিলো আমার গন্তব্যের নিশানা!
আমার জন্য তবু কোন কথা ছিল না ঐ অবনত মুখে, আমার ব্যাকুল জিজ্ঞাসারা পায়নি কোনো শাব্দিক উত্তর!
তাঁর নীরব ঠোঁটের সাথে কথা বলেছিলো খেয়ালী রোদ্দুর, তাঁর জন্য হৃদমাঝারে ভালোবাসা জমেছিলো সাত সমুদ্দুর!
তবু নীরবতার কফিনে শায়িত ছিল রাতের কানাকানি, মায়াবী চোখে সে শুধু ছুঁয়েছিলো আমার হৃদয়ের কড়িকাঠ!
অব্যক্ত কথারা সারাবেলা জুড়ে ছিলো ভাবনার মাঠঘাট....
আমার স্বপ্ন ছিলো একটা আকাশ বুনবো, তাঁর আর আমার যৌথ আকাশ!
যেখানে উড়ে বেড়াবো আমরা বেওয়ারিশ ঘুড়ির মতো, সে সবকিছু অধরাই রয়ে গেলো!
পাওয়া না পাওয়ার মাঝামাঝির উড়াল সেতুতে অনন্তকাল সে আমাকে দাঁড় করিয়ে রাখলো গন্তব্যহীন অপেক্ষায়!
সময়ের আছে অনন্তের হাতছানি, মানুষের ক্ষণিকের আয়ু!
আজ সময়টা আমাদের জন্য, শুধু আমাদের হয়ে থেমে থাকেনি!
সে হারিয়ে যাওয়ায় আমার কোনদিন "মেঘপিয়ন" হয়ে ওঠা হয়নি!
তবু তাঁর হাসি, মায়া মায়া চোখে সুমেরুর ডাক বিন্দুমাত্র ভুল ছিলো না!
হয়তো সে আমার না, আমায় চাইবেও না- এক জীবনে তাকে পাওয়া যাবে না...!

আচ্ছা, পাওয়া মানে কি?
পাওয়া মানে কি একই ছাদের নিচে আকাশহীন ঘর সংসার?
পাওয়া মানে কি কম্বলের রাতে উষ্ণ নিঃশ্বাসের ভাগাভাগি?
সে আমায় চায়নি, হয়তো চাইবেও না কোনদিন!
শুধু স্মৃতির চাদরে থাকবে সেইসব কান্নার দাগ!
তবু তো আজও মিথ্যে হয়ে যাইনি আমি
মিথ্যে হয়ে যায়নি সে
মিথ্যে হয়ে যায়নি সে সময়
মিথ্যে হয়নি আমাদের কিছুই!
হয়তো সে আমায় বাঁধতে চায়না না সংসারের চাওয়া পাওয়ার চার দেয়ালে!
তবু মিথ্যে নয় হৃদয়ের ডাক, ভাবনায় খুব কাছাকাছি থাকা!
তবু মিথ্যে নয় একই আকাশের নিচে আমাদের মুক্তির সংসার!
মিথ্যে নয় একই বাতাসে আমাদের নিঃশ্বাসের নিত্য সঙ্গম!
আমি আর সে এক আকাশ তলেই আছি, আমরা একই বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে বাঁচি!




জ্যোৎস্না রাতে চাঁদের পরী




চাঁদ নিয়ে সবাই কত্ত কিছু কল্পনা করে,
আমি করি চাঁদের জ্যোৎস্না নিয়ে।
ছোটো বেলায় কী যে ভূত মাথায় ঢুকলো,
যে জ্যোৎস্না রাতে পরী দেখা যায়।
কত্ত রাত আমার ছাদে কেটেছে, কত্ত বকা শুনেছি।
কিন্তু পরীর দেখা আমি পাইনি, আর না কখনো পাবো।
তাও মাঝে মাঝে এখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবি,
ইশ! যদি সত্যিকারের পরী এসে আমাকে তার ডানায় ভর দিয়ে নিয়ে যেত অচীন পুরে...
অনেক দূরে...............

আজকের চাঁদ টা কিন্তু অনেক বেশি উজ্জ্বল ছিলো!

অনুকাব্য

-অনুকাব্য সে কাঁদলে আমিও কাঁদি সে হাসলে আমিও হাসি আর হঠাৎ হঠাৎ পরস্পরের দিকে দীর্ঘক্ষণ শুধু তাকিয়ে থাকি!